হটাৎ করে চাহিদার জোয়ার , এক লক্ষ প্রদীপ জ্বলবে পুরুলিয়ায়। হুগলিতে তৈরি হচ্ছে 551 কেজী লাড্ডু। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জয় শ্রী রাম লেখা পতাকার চাহিদা তুঙ্গে। মাটির প্রদীপের যোগান দিয়ে উঠতে পারছেন না মৃৎ শিল্পীরা।
রাম লালার আগমনে সহ সাজো সাজো রব গোটা রাজ্যে। বিভিন্ন জেলার বাজার গুলোতে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা । পুরুলিয়া , বাঁকুড়া, হুগলি, জলপাইগুড়ি , কলকাতা সহ সব জেলারই হনুমান মন্দির গুলোতে হচ্ছে বিশেষ হোম যোগ্য পূজার্চনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমদির অনুরোধে সন্ধ্যে হতেই ঘরে ঘরে জলে উঠবে প্রদীপ। এই কারণে তারকেশ্বর বিধান সভা এলাকায় বিজেপি কর্মীরা মানুষের হাতে হাতে তুলে দিলেন মাটির প্রদীপ।
শুধু বাংলার ফুল এবং প্রদীপ নয়, রামলালার কাছে এবার পৌঁছে যাচ্ছে বাংলার শাড়িও। গোটা শাড়ি জুড়ে রয়েছে রামায়ণ কথা। বাংলার তাঁতশিল্পীর হাতের জাদুতে তৈরি এই শাড়ি পারি দেবে সুদূর অযোধ্যায়। নদীয়া জেলার ফুলিয়ার তাঁতশিল্পী বীরেন বসাক। পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। তার নিজের হাতে তৈরি করা সারিতে রয়েছে রামায়নের বিভিন্ন চিত্র। তবে এই শাড়ি তৈরি করার আগে বিস্তর পড়াশোনা করতে হয়েছে তাকে। ফুলিয়ার কৃত্তিবাস স্মৃতি গ্রন্থাগার থেকে তথ্য জোগাড় করেছেন। এর পরেই আরো দুজন শিল্পীর সহযোগিতায় সিল্কের ওপর সিল্কের সুতো দিয়ে জামদানির ওপর ফুটিয়ে তুলেছেন অপরূপ কারুকার্য। দুবছর সময় লেগেছে এই শাড়ি তৈরিতে। কুড়িয়েছে অসংখ্য প্রশংসাও। এই শাড়ি অযোধ্যায় পৌঁছবে ২৬ শে জানুয়ারির পর।