Connect with us

দেশ

Top Arm Exporting Countries: গরিব দেশের হাতেও অত্যাধুনিক অস্ত্র, জোগান দিচ্ছে কে?

Published

on

‘রাজনীতি যদি রক্তপাতহীন যুদ্ধ হয়, তাহলে যুদ্ধ হল রক্তপাতের রাজনীতি।’

আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি এবং সংঘাত পরিস্থিতিতে ঘুরে ফিরে উঠে আসে মাও জেদংয়ের এই উক্তি। রাজনীতি এবং যুদ্ধকে পাশাপাশি বসালে বেরিয়ে আসে স্বার্থসিদ্ধির আখ্যানও। খাতায় কলমে এই মুহূর্তে দু’টি যুদ্ধ চলছে, রাশিয়া বনাম ইউক্রেন এবং ইজরায়েল বনাম প্যালেস্তাইনের হামাস। পাশাপাশি, আর্মেনিয়া এবং আজেরবাইজানের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত। গৃহযুদ্ধ চলছে লিবিয়া, ইয়েমেনেও। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ কিছু দেশ এবং বিশেষ কিছু সংস্থা কার্যতই ফুলেফেঁপে উঠছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং সংঘাতে জর্জরিত দেশগুলিতে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে তারা। (Top Arm Exporting Countries)

২১টি অলাভজনক সংস্থাকে নিয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা Oxfam চলতি বছরের গোড়ায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৮৫০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র বিক্রি হয়েছে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৭, ০৮, ৬৪৫ কোটি টাকা। আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, চিন এবং জার্মানি এই বিপুল পরিমাণ আয় করেছে, যারা কিনা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার কমিয়ে আনা, নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে যারা সওয়াল করে রাষ্ট্রপুঞ্জে। এই পাঁচটি দেশই এই মুহূর্তে পৃথিবীর সেরা পাঁচ অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। (International Weapon Market)

নিউইয়র্কে Oxfam-এর প্রধান ব্রেন্ডা মোফিয়ার মতে, আন্তর্জাতিক মহলে ‘যুদ্ধ নয় শান্তি’র বার্তা দিলেও, আসলে নিজেদের স্বার্থে যুদ্ধে ইন্ধন জোগাচ্ছে এই দেশগুলি। তাদের তৈরি বন্দুক-বোমার আঘাতে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছেন। বোমা-গুলির আঘাত যদিও বা এড়াতে পারছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অনাহারে মৃত্যু ঘটছে কাতারে কাতারে মানুষের। Oxfam জানিয়েছে, এক দশক আগের সঙ্গে তুলনা করলে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে গোটা পৃথিবীতে অস্ত্রের জোগান বেড়েছে ৪.৮ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে ৪৮ হাজার নিরীহ মানুষ মারা গিয়েছেন। গৃহহীন হয়েছেন ৯ কোটি মানুষ। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই ১৯টি দেশ মিলিয়ে ১১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের ঠাঁই হয়েছে চরম ক্ষুধার্তের তালিকায়।

সামরিক খাতে খরচ বাড়িয়েছে প্রত্যেক দেশই

এই সময়কালের মধ্যে সামরিক শক্তির খাতে খরচ-খরচা বাড়িয়েছে প্রায় প্রত্যেক দেশই। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই পৃথিবীর তাবড় দেশ মিলিয়ে সামরিক খাতে ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ১,৮৩,৪১,৪০০ কোটি টাকা। দক্ষিণ সুদানের মতো দেশেও ২০২২ সালে সামরিক খাতে খরচ বাড়ে ৫০ শতাংশ। অথচ সেদেশে মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ নাগরিকই অনাহারে বেঁচে রয়েছেন। এ বছর মার্চ মাসে, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI) যে রিপোর্ট প্রকাশ করে, তাতে বলা হয়, বিদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র আমদানি করে ভারত (১১ শতাংশ)। এর পর রয়েছে সৌদি আরব (৯.৬ শতাংশ), কাতার (৬.৪ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়া (৪.৭ শতাংশ), চিন (৪.৭ শতাংশ), মিশর (৪.৫ শতাংশ), দক্ষিণ কোরিয়া (৩.৭ শতাংশ), পাকিস্তান (৩.৭ শতাংশ) এবং জাপান (৩.৫ শতাংশ)।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ এবং সংঘাতপর্ব চলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে তার জন্য অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ এবং সংস্থাগুলিকেই দায়ী করেন পোপ ফ্রান্সিস। নিজেদের মুনাফার স্বার্থে কিছু মানুষ যুদ্ধ পরিস্থিতি জিইয়ে রাখছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর এই দাবি যে অমূলক নয়, তা অক্টোবর মাসে প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্টে উঠে আসে। তাতে দেখা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে আমেরিকা থেকে অস্ত্র সরবাহ অভূতপূর্ব হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, স্মার্ট বম্ব, অ্যামিউনিশন এবং ইজরায়েলের আয়রন ডোম মিসাইল-ডিফেন্স সিস্টেমে ব্যবহৃত ইন্টারসেপ্টরের চাহিদা একধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে।

অস্ত্র বিক্রির বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য আমেরিকার

নিউইয়র্ক টাইমসের ওই রিপোর্টে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্রের চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, চাহিদার জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে পেন্টাগন এবং বেসরকারি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে। এশিয়া থেকেও প্রচুর অস্ত্রের বরাত এসেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার জোগান দিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের যে হিসেব সামনে এসেছে, তাতে পৃথিবীর অস্ত্রশস্ত্র বিক্রির যে বাজার রয়েছে, তার ৪৫ শতাংশই দখল করে রয়েছে আমেরিকা। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে অস্ত্রশস্ত্রের বাজারে আর কোনও দেশের এই একচেটিয়া আধিপত্য দেখা যায়নি।আমেরিকার কংগ্রেসে পেন্টাগন যে নথি জমা দিয়েছে, সেই অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফে পাওয়া অস্ত্রের বরাতে ভর করে, চলতি বছরের প্রথন ন’মাসেই তাদের বিক্রিবাটা ৯০.৫ বিলিয়ন ডলারের অঙ্ক পার করে গিয়েছে, গত এক দশকে এই অঙ্ক ছিল ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আমেরিকার যে সমস্ত সংস্থা এই অস্ত্রের জোগান দিচ্ছে, সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে লকহিড মার্টিন।

অস্ত্র বিক্রির বাজারের এই রমরমা দেখে অনেক ছোট দেশও দৌড়ে নাম লিখিয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তুরস্ক এবং দক্ষিণ কোরিয়া, যাতে জোগানে ঘাটতি দেখা দিলে, তাদের কপাল খোলে। এ প্রসঙ্গে অলাভজনক সংস্থা Arms Control Association-এর বোর্ড সদস্য মাইকেল ক্লেয়ার বলেন, “ক্ষণভঙ্গুর পৃথিবীতে বাস করছি আমরা। বহু অমীমাংসিত সংঘাত রয়েছে। তবে যে হারে অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে, তাতে আঞ্চলিক সংঘাত বাড়বে বই কমবে না।” এ প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তান, আর্মেনিয়া-আজেরবাইজান সংঘাতের উল্লেখ করেন তিনি।

অস্ত্র বিক্রির বাজারের বর্তমান সমীকরণ

রাশিয়া পাকিস্তানকে অস্ত্রের জোগান দিতে শুরু করায়, ভারতও এই মুহূর্তে আমেরিকার থেকে অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে। চিনের পরিবর্তে আমেরিকার দ্বারস্থ হয়েছে ইন্দোনেশিয়াও। রাশিয়ার থেকে সুখোই যুদ্ধবিমান কিনতে উদ্যোগী হয়েছিল তারা। কিন্তু পরে ওই চুক্তি থেকে সরে আসে এবং ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করে। ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে পোল্যান্ড ৪১.৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কিনতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকার থেকে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে গত বছরই ১৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করে তারা। ওই চুক্তির আওতায় ১০০০ ট্যাঙ্ক, ৪৮ যুদ্ধবিমান এবং ৬৭২টি স্বচালিত হাউইৎজারের বরাত দেয় তারা। লিবিয়া, সিরিয়া, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, আজেরবাইজান-সহ ২৯টি দেশকে ড্রোন সরবরাহ করছে তুরস্ক।

জো বাইডেনের আমলে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, তাইওয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একাধিক দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে আমেরিকা। একে তাইওয়ানই ১৯ বিলিয়ন ডলারের বরাত দিয়েছে তাদের। প্রত্যেক বছর ইজরায়েলকে ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্রশস্ত্র এমনিতেই সরবরাহ করে আমেরিকা। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে, ১০০০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য চেয়েছে ইজরায়েল। সৌদি আরব আমেরিকাকে ১৬৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার বরাত দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে সওয়ালকারী জেফ অ্যাব্রাহামসন বলেন, “ইতিহাস সাক্ষী অস্ত্রব্যবসা সব সময়ই অপ্রত্যাশিত ফলাফল বয়ে আনে। আমরা ভুলে যাই যে, অস্ত্রশস্ত্র দীর্ঘদিন মজুত করে রাখা যায় এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা ভুল লোকজনের হাতে গিয়ে পড়ে।”

অতি সম্প্রতি আমেরিকার কংগ্রেসে একটি রিপোর্ট জমা পড়ে, যাতে বলা হয়, রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশ লাগাতার তাদের সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে, আগামী দিনে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নেমে এলে, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তাদের মোকাবিলা করতে হলে নিজেদের সামরিক শক্তি, বিশেষ করে পরমাণু শক্তিতে আরও ধার দিতে হবে আমেরিকাকে। পেন্টাগনের তরফে অস্ত্র বিক্রির বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য কায়েমের যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, তার নেপথ্যে ওই রিপোর্টের ভূমিকাও রয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।

Read More

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দেশ

Rashmika Mandanna Deepfake Case: রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও-কাণ্ডে ৪ সন্দেহভাজনের খোঁজ পেল দিল্লি পুলিশ

Published

on

নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) ‘ডিপফেক’ ভিডিও (Deepfake Video) মামলায় খোঁজ মিলল চার সন্দেহভাজনের। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) খোঁজ পেয়েছে চার জনের (four suspects)। বুধবার সকালে এমনই খবর মিলল, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে (Source ANI)।

রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও মামলায় খোঁজ মিলল ৪ সন্দেহভাজনের

ভারতে সম্প্রতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ‘ডিপফেক’ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কারচুপি। একের পর এক এই ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন একাধিক ভারতীয় অভিনেত্রী। এঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমদিকেই এই কারচুপির শিকার হন রশ্মিকা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই ‘ডিপফেক’ ভিডিও।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তে দিল্লি পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনের সন্ধান পেয়েছে। ANI সূত্রে খবর, এরা প্রত্যেকেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা ভিডিওটি তৈরি করেননি। ফলে মূল সন্দেহভাজনের খোঁজ এখনও চলছে।

 

আরও পড়ুন: Gauri Khan: রিয়েল এস্টেট প্রতারণা মামলায় শাহরুখ-পত্নী গৌরী খানকে নোটিস ED-র!

ঠিক কী ঘটেছিল?

দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই ‘ডিপফেক’-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও। তবে তাঁর ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন কাজল, আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকা অভিনেত্রীরা।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।

Read More

Continue Reading

দেশ

Gauri Khan: রিয়েল এস্টেট প্রতারণা মামলায় শাহরুখ-পত্নী গৌরী খানকে নোটিস ED-র!

Published

on

নয়াদিল্লি: ইডি নোটিস (ED Notice) পাঠাল শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) স্ত্রী গৌরী খানকে (Gouri Khan)। রিয়েল এস্টেট (Real Estate) সংস্থার প্রতারণার মামলা। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কত টাকা পেয়েছিলেন গৌরী? জানতে চায় এজেন্সি।

গৌরী খানকে ইডি-র নোটিস

খবর মিলেছে বলিউডের কিং খানের স্ত্রী, ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং প্রযোজক গৌরী খানকে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। যদিও এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ এই তথ্য ভুয়ো বলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘গৌরী খান লখনউয়ের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থা তুলসিয়ানি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যদিও ফার্মের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু গৌরীকে ইডির নোটিস পাঠানোর খবর সবটাই ভুয়ো।’

সূত্রের আরও দাবি, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তুলসিয়ানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্কের প্রায় ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনও মামলার সঙ্গে গৌরীর কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আধিকারিকরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন।’

আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty Exclusive: ‘রহমত নয়, আমার কাছে অনেক বেশি কাছের…’, ছবির বাইরে কোন গল্প শোনালেন মিঠুন ?

শাহরুখ-পত্নীর বিরুদ্ধে পূর্বেই FIR দায়ের

চলতি বছরে মার্চ মাসের শুরুতে বিশ্বাসভঙ্গের (criminal breach of trust) অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয় গৌরী খানের বিরুদ্ধে। লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশনে গৌরী খান-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গৌরী ছাড়া অপর দু’জন হলেন ‘তুলসিয়ানি গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল তুলসিয়ানি ও ডিরেক্টর মহেশ তুলসিয়ানি। অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ। তাঁর অভিযোগ ২০১৫ সালে ‘তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন গৌরী খান। তিনি FIR-এ উল্লেখ করেছেন, ‘ওই বছরই আমি সংস্থার সুশান্ত গল্ফ সিটির অফিসে যাই এবং সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করি এবং ৮৬ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ শাহের অভিযোগ, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটের চাবি আমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই থেকে অনেকটা সময় কেটে গেছে এবং আমি এখনও ফ্ল্যাট পাইনি। পরে, বুঝতে পারছি যে ফ্ল্যাট আমার কেনার কথা ছিল তার চুক্তিপত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকেই।’ গৌরী খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার (বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ) অধীনে FIR দায়ের করা হয় সেই সময়। অভিযোগে মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ দাবি করেন তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌরী খানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই ফ্ল্যাট কেনেন ওই সংস্থা মারফত।

Read More

Continue Reading

দেশ

Parliament News Update: সংসদের চেম্বার, লবি-গ্যালারিতে ঢুকতে পারবেন না সাসপেন্ডেড সাংসদরা, সার্কুলার জারি লোকসভার সচিবালয়ের

Published

on

নয়াদিল্লি : লোকসভা থেকে ৯৫ জন ও রাজ্যসভা থেকে ৪৬ জন। মোট ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার পর এবার তাঁদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করল লোকসভার সচিবালয়। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংসদের চেম্বার, লবি বা গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ভারতীয় সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের সংখ্য়া সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে! সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলের মোট ১৪১ জন সাংসদ। এর মধ্যে, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৯৫ জন সাংসদকে। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মোট ৪৬ জন সাংসদকে।

লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে, জোট ইন্ডিয়ার সাংসদ রয়েছেন ১৪২ জন। তার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন ৯৫ জন। অন্যদিকে, রাজ্যসভার ২৫০ টি আসনের মধ্যে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ রয়েছেন ১০১ জন। যার মধ্যে ৪৬ জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী জোটের ৫৮ শতাংশ সাংসদকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে, সব জায়গায় যে ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে, এটা সমবেতভাবে বিরোধীদের একটা ‘পলিটিকাল স্পিন’।

বিরোধীরা চাইছে সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিন। কিন্তু তাঁরা তা দিতে নারাজ। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।

প্রণব মুখোপাধ্য়ায় তাঁর বই.. দ্য় প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স ২০১২-২০১৭-তে লিখেছেন, জওহরলাল নেহরুর সময় বিতর্ক বিরোধিতা এবং আলোচনার দিকটি বিশেষ করে সমৃদ্ধ হয়। নেহরু শুধুমাত্র বিতর্কে উৎসাহই দিতেন না, মতবিরোধকেও সম্মান করতেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী-সহ বহু বিরোধী নেতা সংসদে দাগ কাটতে পেরেছিলেন তার কারণ সেই সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বক্তব্য, অবস্থান এবং সমালোচনাকে প্রকাশ করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হত। জওহরলাল নেহরুই হোন বা ইন্দিরা গাঁধী, মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ী — প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিতেন।

সংসদে সাংসদদের বিরোধিতার রীতি চলে আসছে বহু দশক ধরে। বিজেপি বনাম কংগ্রেস-তৃণমূল নয়, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে এযাবৎ এই রীতিই চলে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সময় না পাওয়া গেলে, সরকার প্রশ্নের উত্তর না দিলে, ট্রেজারি বেঞ্চের প্রতিশোধপূর্ণ আচরণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন বিঘ্ন ঘটানো হলে এবং উপদ্রব ঘটানো সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করা হলে, বিক্ষোভ দেখান সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে দিতে বাধ্য সরকার। গত ৭০ বছর ধরে এই রীতিতে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।

Read More

Continue Reading
Advertisement
খেলা3 days ago

Gujrat Titans: পেস অ্যাটাকে শামির সঙ্গে উমেশ, নিলাম শাহরুখ খানকে নিয়ে কতটা শক্তিশালী হল গুজরাত শিবির?

খেলা3 days ago

Sunrisers Hayderabad: রেকর্ড দরে দলে কামিন্স, আছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক, এক নজরে নতুন মরসুমের সানরাইজার্স শিবির

দেশ3 days ago

Rashmika Mandanna Deepfake Case: রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও-কাণ্ডে ৪ সন্দেহভাজনের খোঁজ পেল দিল্লি পুলিশ

খেলা3 days ago

Mitchell Starc: আইপিএলের ইতিহাসে সর্বােচ্চ দর পেয়েছেন, এবার নাইট সমর্থকদের জন্য বড় বার্তা স্টার্কের

দেশ3 days ago

Gauri Khan: রিয়েল এস্টেট প্রতারণা মামলায় শাহরুখ-পত্নী গৌরী খানকে নোটিস ED-র!

খেলা3 days ago

IND vs SA: জর্জির প্রথম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে কেন হারতে হল রাহুলদের?

বিদেশ3 days ago

Donald Trump: পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য ট্রাম্প, ঘোষণা আমেরিকার আদালতের

দেশ3 days ago

Parliament News Update: সংসদের চেম্বার, লবি-গ্যালারিতে ঢুকতে পারবেন না সাসপেন্ডেড সাংসদরা, সার্কুলার জারি লোকসভার সচিবালয়ের

খেলা3 days ago

IPL Auction: আইপিএল নিলামে রেকর্ডের দিন বাংলার প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য, দল পেলেন না কেউই

কলকাতা3 days ago

Covid 19: সামনেই ক্রিসমাস, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

লালাবাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা

কলকাতা3 months ago

ফ্ল্যাট বিক্রির জালিয়াতির কেস এ অভিনেত্রী নুসরাতের কাছে আরও নথি চাইল ইডি

দেশ3 months ago

ভারত থেকে বেশকিছু কূটনীতিক দের সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় সরালো কানাডা

কর্মখালি3 months ago

পুলিশে 412 ড্রাইভার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

সল্টলেকে বি কে ব্লক এর মণ্ডপ সজ্জা | দেখুন কিভাবে সেজে উঠছে |

দেশ3 months ago

বানজারা হিলস রোটারী ক্লাব এর উদ্যোগে মৃত্যু পথযাত্রী নিঃসঙ্গ মানুষ দের জন্য Sparsh Hospice

দেশ3 months ago

ব্যবসার ক্ষেত্রে ভারতের ভিসা সাসপেনশন কি প্রভাব ফেলতে পারে ?

কর্মখালি3 months ago

গ্রন্থাগারিক, পিটিআই এবং সহকারী অধ্যাপক পদের বিজ্ঞপ্তি

কলকাতা3 months ago

ED র অফিসার কি আদৌ প্রশিক্ষিত ? বিচার পতির সন্দেহ প্রকাশ |

খেলা3 months ago

সুপার সিক্স এর প্রথম ম্যাচ এ পরাজিত ইস্টবেঙ্গল

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

বিবেকানন্দ সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির দূর্গা পূজা

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

লালাবাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

গোলাঘাটা সম্মিলনী পূজা কমিটির দুর্গাপূজা

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

হাতিবাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

আহিরীটোলা সার্বজনীন দুর্গাপূজা

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

কুমোরটুলি সার্বজনীন দুর্গাপুজো

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

নলিনী সরকার স্ট্রীটের সার্বজনীন দুর্গাপুজো

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

আজাদহিন্দবাগ সার্বজনীন দুর্গোৎসব

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

মানিকতলা লোহাপট্টি চালতাবাগান এর দূর্গা পুজো

দুর্গা পূজা ২০২৩2 months ago

লেকটাউন অধিবাসী বৃন্দের দূর্গা পূজা

Trending