PPF বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে (Public Provident Fund) বিনিয়োগ (Investment) করে আপনিও হতে পারেন কোটিপতি (Crorepati)। চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের টাকা আসায় তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি হয় এই তহবিল। তাই দেশের একাংশ এই সরকারি স্কিমে ভরসা রাখেন। জেনে নিন, কোন পাঁচ কারণে পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করা উচিত।
কারা চালু করতে পারেন এই অ্যাকাউন্ট
PPF ভারতে একটি সরকারি সঞ্চয় বিনিয়োগ উদ্যোগ। আকর্ষণীয় সুদের হার,করের সুবিধা এবং কম ঝুঁকির জন্য বিখ্যাত এই স্কিম। পিপিএফ দেশের অন্যতম পছন্দের বিনিয়োগের জায়গা হিসাবে দাঁড়িয়েছে। কোনও ব্যক্তি চাইলে তার নিজের নামে বা নাবালক বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির নামে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট চালু করতে পারেন ।
বাবা-মায়ের কাছে তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের জন্য একটি PPF অ্যাকাউন্ট খোলার বিকল্প রয়েছে। এটি তাদের ভবিষ্যতের সঞ্চয় শুরু করার জন্য একটি বিচক্ষণ কৌশল হতে পারে। পিপিএফ অ্যাকাউন্টে প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার, ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধা , শিশুদের আর্থিক সুরক্ষিত করার জন্য এই স্কিম একটি উল্লেখযোগ্য বিকল্প হতে পারে।
এখানে পিপিএফ (পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড) বিনিয়োগ সম্পর্কে 5টি মূল তথ্য রয়েছে:
আকর্ষণীয় সুদের হার সহ দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়: PPF হল 15 বছরের লক-ইন পিরিয়ড সহ একটি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্প। এখানে আপনি 15 বছর পূর্ণ হওয়ার আগে আপনার টাকা তুলতে পারবেন না। PPF আকর্ষণীয় সুদের হার অফার করে, যা বর্তমানে প্রতি বছর 7.10% নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি পিপিএফকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ লক্ষ্যগুলির জন্য একটি ভাল বিকল্প করে তোলে, যেমন অবসর পরিকল্পনা বা শিশুদের শিক্ষা।
ধারা 80C এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা: PPF বিনিয়োগ আয়কর আইনের ধারা 80C এর অধীনে কর ছাড়ের যোগ্য। এর অর্থ হল আপনি এতে ট্যাক্স ছাড়ের সুবিধা পাবেন। পিপিএফ-এ বিনিয়োগের জন্য আপনি করযোগ্য আয় থেকে প্রতি বছর 1.5 লাখ ছাড় পাবেন। এটি উল্লেখযোগ্যভাবে আপনার ট্যাক্স দায় কমাতে পারে।
করমুক্ত রিটার্ন: পিপিএফ বিনিয়োগে অর্জিত সুদ সম্পূর্ণ করমুক্ত। এর অর্থ,আপনাকে অর্জিত সুদের উপর কোনও কর দিতে হবে না। এটি উচ্চ কর বন্ধনীতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য পিপিএফকে একটি খুব আকর্ষণীয় বিনিয়োগের বিকল্প করে তোলে।
আংশিক উত্তোলন এবং ঋণ: PPF কিছু শর্ত সাপেক্ষে সপ্তম বছর থেকে আংশিক উত্তোলনের অনুমতি দেয়। আপনি ৩ থেকে ষ্ষ্ঠ বছর পর্যন্ত আপনার পিপিএফ ব্যালেন্সের পরিবর্তে ঋণ নিতে পারেন। এটি যেকোনও অপ্রত্যাশিত আর্থিক চাহিদা পূরণে সহায়ক হতে পারে।
সরকার-সমর্থিত স্কিম: পিপিএফ হল একটি সরকার-সমর্থিত স্কিম, যার অর্থ হল আপনার বিনিয়োগগুলি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। সুদের হারগুলিও সরকার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে, যাতে আপনি প্রতিযোগিতামূলক রিটার্ন পান তা নিশ্চিত করে।
পিপিএফ অ্যাকাউন্ট: অন্যান্য বৈশিষ্ট্য
আসল সময়কাল 15 বছর। তারপরে গ্রাহকের আবেদনের ভিত্তিতে, এটি প্রতিটি 5 বছরের জন্য 1 বা তার বেশি ব্লকের জন্য বাড়ানো যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণ করে। বর্তমানে এটি প্রতি বছর 7.10%।
নির্দিষ্ট তারিখে অ্যাকাউন্টের বয়স এবং ব্যালেন্সের উপর নির্ভর করে ঋণ এবং তোলার অনুমতি দেওয়া হয়।
এক বা একাধিক ব্যক্তির নামে মনোনয়ন সুবিধা পাওয়া যায়। মনোনীতদের শেয়ারও গ্রাহক দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।
অ্যাকাউন্টটি অন্য শাখা/অন্যান্য ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে স্থানান্তর করা যেতে পারে
কীভাবে একটি PPF অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
PPF অ্যাকাউন্টগুলি যে কোনও অনুমোদিত ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের যে কোনও মনোনীত শাখায় খোলা যেতে পারে। একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে, আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে, যেমন আপনার আইডি প্রমাণ, ঠিকানা প্রমাণ।
একবার আপনি একটি PPF অ্যাকাউন্ট খুললে আপনি আর্থিক বছরে যে কোনও সময় এতে অবদান রাখতে পারেন। আপনি অনলাইনে NEFT/RTGS এর মাধ্যমে বা ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে নগদে টাকা রাখতে পারেন।
নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) ‘ডিপফেক’ ভিডিও (Deepfake Video) মামলায় খোঁজ মিলল চার সন্দেহভাজনের। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) খোঁজ পেয়েছে চার জনের (four suspects)। বুধবার সকালে এমনই খবর মিলল, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে (Source ANI)।
রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও মামলায় খোঁজ মিলল ৪ সন্দেহভাজনের
ভারতে সম্প্রতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ‘ডিপফেক’ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কারচুপি। একের পর এক এই ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন একাধিক ভারতীয় অভিনেত্রী। এঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমদিকেই এই কারচুপির শিকার হন রশ্মিকা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই ‘ডিপফেক’ ভিডিও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তে দিল্লি পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনের সন্ধান পেয়েছে। ANI সূত্রে খবর, এরা প্রত্যেকেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা ভিডিওটি তৈরি করেননি। ফলে মূল সন্দেহভাজনের খোঁজ এখনও চলছে।
Delhi Police say it has tracked down four suspects, who turned out to be uploaders, not the creators, involved in the case of deep fake profiles of actor Rashmika Mandana. Police are looking are the key conspirator in the case.
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই ‘ডিপফেক’-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও। তবে তাঁর ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন কাজল, আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকা অভিনেত্রীরা।
খবর মিলেছে বলিউডের কিং খানের স্ত্রী, ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং প্রযোজক গৌরী খানকে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। যদিও এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ এই তথ্য ভুয়ো বলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘গৌরী খান লখনউয়ের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থা তুলসিয়ানি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যদিও ফার্মের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু গৌরীকে ইডির নোটিস পাঠানোর খবর সবটাই ভুয়ো।’
সূত্রের আরও দাবি, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তুলসিয়ানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্কের প্রায় ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনও মামলার সঙ্গে গৌরীর কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আধিকারিকরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন।’
চলতি বছরে মার্চ মাসের শুরুতে বিশ্বাসভঙ্গের (criminal breach of trust) অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয় গৌরী খানের বিরুদ্ধে। লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশনে গৌরী খান-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গৌরী ছাড়া অপর দু’জন হলেন ‘তুলসিয়ানি গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল তুলসিয়ানি ও ডিরেক্টর মহেশ তুলসিয়ানি। অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ। তাঁর অভিযোগ ২০১৫ সালে ‘তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন গৌরী খান। তিনি FIR-এ উল্লেখ করেছেন, ‘ওই বছরই আমি সংস্থার সুশান্ত গল্ফ সিটির অফিসে যাই এবং সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করি এবং ৮৬ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ শাহের অভিযোগ, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটের চাবি আমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই থেকে অনেকটা সময় কেটে গেছে এবং আমি এখনও ফ্ল্যাট পাইনি। পরে, বুঝতে পারছি যে ফ্ল্যাট আমার কেনার কথা ছিল তার চুক্তিপত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকেই।’ গৌরী খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার (বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ) অধীনে FIR দায়ের করা হয় সেই সময়। অভিযোগে মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ দাবি করেন তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌরী খানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই ফ্ল্যাট কেনেন ওই সংস্থা মারফত।
নয়াদিল্লি : লোকসভা থেকে ৯৫ জন ও রাজ্যসভা থেকে ৪৬ জন। মোট ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার পর এবার তাঁদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করল লোকসভার সচিবালয়। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংসদের চেম্বার, লবি বা গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ভারতীয় সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের সংখ্য়া সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে! সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলের মোট ১৪১ জন সাংসদ। এর মধ্যে, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৯৫ জন সাংসদকে। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মোট ৪৬ জন সাংসদকে।
লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে, জোট ইন্ডিয়ার সাংসদ রয়েছেন ১৪২ জন। তার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন ৯৫ জন। অন্যদিকে, রাজ্যসভার ২৫০ টি আসনের মধ্যে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ রয়েছেন ১০১ জন। যার মধ্যে ৪৬ জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী জোটের ৫৮ শতাংশ সাংসদকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে, সব জায়গায় যে ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে, এটা সমবেতভাবে বিরোধীদের একটা ‘পলিটিকাল স্পিন’।
বিরোধীরা চাইছে সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিন। কিন্তু তাঁরা তা দিতে নারাজ। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
প্রণব মুখোপাধ্য়ায় তাঁর বই.. দ্য় প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স ২০১২-২০১৭-তে লিখেছেন, জওহরলাল নেহরুর সময় বিতর্ক বিরোধিতা এবং আলোচনার দিকটি বিশেষ করে সমৃদ্ধ হয়। নেহরু শুধুমাত্র বিতর্কে উৎসাহই দিতেন না, মতবিরোধকেও সম্মান করতেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী-সহ বহু বিরোধী নেতা সংসদে দাগ কাটতে পেরেছিলেন তার কারণ সেই সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বক্তব্য, অবস্থান এবং সমালোচনাকে প্রকাশ করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হত। জওহরলাল নেহরুই হোন বা ইন্দিরা গাঁধী, মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ী — প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিতেন।
সংসদে সাংসদদের বিরোধিতার রীতি চলে আসছে বহু দশক ধরে। বিজেপি বনাম কংগ্রেস-তৃণমূল নয়, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে এযাবৎ এই রীতিই চলে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সময় না পাওয়া গেলে, সরকার প্রশ্নের উত্তর না দিলে, ট্রেজারি বেঞ্চের প্রতিশোধপূর্ণ আচরণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন বিঘ্ন ঘটানো হলে এবং উপদ্রব ঘটানো সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করা হলে, বিক্ষোভ দেখান সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে দিতে বাধ্য সরকার। গত ৭০ বছর ধরে এই রীতিতে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।