Loan Interest: অর্থের (Money) প্রয়োজনে অনেক সময় কাজে লাগে এই পথ। যেখানে পার্সোনাল লোন (Personal Loan) বা ব্যক্তিগত ঋণের মাধ্য়মে নিজের আর্থিক চাহিদা মেটাতে পারেন ঋণগ্রহীতা। তবে এই ধরনের ঋণ(Loan) নেওয়ার সময় প্রায়শই এই ভুল করে থাকি আমরা। জেনে নিন,পার্সোনাল লোন নেওয়ার আগে কী কী প্রশ্ন করা উচিত ব্যাঙ্ককে(Bank)।
ব্যাঙ্ক/এনডিএফসি থেকে পার্সোনাল লোন নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলি জেনে নিন ১ সুদের হার:
ব্যক্তিগত ঋণের জন্য প্রযোজ্য সুদের হার কত? সুদের হার কী স্থির না পরিবর্তনশীল? কোন বিশেষ শর্ত বা মানদণ্ড আছে যা সুদের হারকে প্রভাবিত করতে পারে?
এটি জিজ্ঞাসা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কারণ এটি নির্ধারণ করবে আপনি ঋণের জন্য মোট কত টাকা দেবেন। সুদের হার আপনার ক্রেডিট স্কোর, আয় এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হবে।
২ ঋণের মেয়াদ এবং শোধের শর্তাবলী:
সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ঋণের মেয়াদ কতটি উপলব্ধ? মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আমি ঋণ পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নিলে কি কোনও প্রি-পেমেন্ট চার্জ বা জরিমানা আছে? ঋণ পরিশোধের শর্তাবলী কী এবং আমার আর্থিক অবস্থার সঙ্গে মানানসই করে কী সেগুলি কাস্টমাইজ করা যায়?
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত ঋণ প্রি-ক্লোজ করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনাকে একটি প্রি-ক্লোজার জরিমানা চার্জ করা হতে পারে। ঋণ নেওয়ার আগে ব্যাঙ্ককে প্রি-ক্লোজার প্রক্রিয়া এবং চার্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন।
৩ খরচ বাবদ কত লাগবে:
ব্যক্তিগত ঋণের সাথে যুক্ত প্রসেসিং ফি কত লাগবে? কোনও লুকনো কিছু থাকলে সেই বিষয়ে সচেতন হোন
সুদের হার ছাড়াও ব্যক্তিগত ঋণের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এমন আরও অনেক ফি এবং চার্জ রয়েছে। এই ফিগুলির মধ্যে প্রসেসিং ফি, প্রিপেমেন্ট পেনাল্টি এবং লেট পেমেন্ট ফি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। আপনি ঋণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই সমস্ত ফি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না।
৪ ইএমআই:
কীভাবে ইএমআই (সমান মাসিক কিস্তি) গণনা করা হয় এবং দেরিতে টাকা দেওয়ার জন্য কি কোনও চার্জ আছে কিনা?
ঋণ পরিশোধের মেয়াদ কত? ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হল আপনাকে ঋণ পরিশোধ করার সময়কাল। পরিশোধের মেয়াদ আপনার মাসিক EMI এর আকারকে প্রভাবিত করবে।
একটি সংক্ষিপ্ত পরিশোধের মেয়াদের ফলে উচ্চ EMI হবে, কিন্তু আপনি দ্রুত ঋণ পরিশোধ করবেন। একটি দীর্ঘ পরিশোধের মেয়াদের ফলে কম EMI হবে, কিন্তু আপনি সময়ের সাথে সাথে আরও বেশি সুদের অর্থ প্রদান করবেন।
৫ যোগ্যতার মানদণ্ড:
একটি ব্যক্তিগত ঋণ প্রাপ্তির জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড কি কি? আমার ঋণ যোগ্যতা কীভাবে নির্ধারিত হয়? ঋণ অনুমোদনের জন্য কোনও নির্দিষ্ট নথি বা প্রয়োজন আছে কি?
একটি ব্যক্তিগত ঋণের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। এই মানদণ্ডে আপনার বয়স, আয়, ক্রেডিট স্কোর এবং কর্মসংস্থানের অবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। আপনি ঋণের জন্য যোগ্য কিনা তা নিশ্চিত করতে যোগ্যতার মানদণ্ড সম্পর্কে ব্যাঙ্ককে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না।
৬ সিকিউরিটি এবং বিমা:
ব্যক্তিগত ঋণ কতটা সুরক্ষিত ? কী ধরনের সিকিউরিটি প্রয়োজন হয় এই ঋণে ? ঋণের জন্য কি কোনও বিমা রয়েছে, এটা কী কভার করা হবে?
ঋণ চুক্তিটি মনোযোগ সহকারে পড়ার এবং অস্পষ্ট কোনও শর্তাবলী থাকলে তা পড়ে নিন। নিয়ম ও শর্তাবলী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝে নিন। অন্যথায় প্রতি পদক্ষেপে আপনি হতবাক হবেন।
নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) ‘ডিপফেক’ ভিডিও (Deepfake Video) মামলায় খোঁজ মিলল চার সন্দেহভাজনের। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) খোঁজ পেয়েছে চার জনের (four suspects)। বুধবার সকালে এমনই খবর মিলল, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে (Source ANI)।
রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও মামলায় খোঁজ মিলল ৪ সন্দেহভাজনের
ভারতে সম্প্রতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ‘ডিপফেক’ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কারচুপি। একের পর এক এই ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন একাধিক ভারতীয় অভিনেত্রী। এঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমদিকেই এই কারচুপির শিকার হন রশ্মিকা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই ‘ডিপফেক’ ভিডিও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তে দিল্লি পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনের সন্ধান পেয়েছে। ANI সূত্রে খবর, এরা প্রত্যেকেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা ভিডিওটি তৈরি করেননি। ফলে মূল সন্দেহভাজনের খোঁজ এখনও চলছে।
Delhi Police say it has tracked down four suspects, who turned out to be uploaders, not the creators, involved in the case of deep fake profiles of actor Rashmika Mandana. Police are looking are the key conspirator in the case.
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই ‘ডিপফেক’-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও। তবে তাঁর ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন কাজল, আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকা অভিনেত্রীরা।
খবর মিলেছে বলিউডের কিং খানের স্ত্রী, ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং প্রযোজক গৌরী খানকে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। যদিও এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ এই তথ্য ভুয়ো বলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘গৌরী খান লখনউয়ের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থা তুলসিয়ানি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যদিও ফার্মের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু গৌরীকে ইডির নোটিস পাঠানোর খবর সবটাই ভুয়ো।’
সূত্রের আরও দাবি, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তুলসিয়ানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্কের প্রায় ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনও মামলার সঙ্গে গৌরীর কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আধিকারিকরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন।’
চলতি বছরে মার্চ মাসের শুরুতে বিশ্বাসভঙ্গের (criminal breach of trust) অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয় গৌরী খানের বিরুদ্ধে। লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশনে গৌরী খান-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গৌরী ছাড়া অপর দু’জন হলেন ‘তুলসিয়ানি গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল তুলসিয়ানি ও ডিরেক্টর মহেশ তুলসিয়ানি। অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ। তাঁর অভিযোগ ২০১৫ সালে ‘তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন গৌরী খান। তিনি FIR-এ উল্লেখ করেছেন, ‘ওই বছরই আমি সংস্থার সুশান্ত গল্ফ সিটির অফিসে যাই এবং সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করি এবং ৮৬ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ শাহের অভিযোগ, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটের চাবি আমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই থেকে অনেকটা সময় কেটে গেছে এবং আমি এখনও ফ্ল্যাট পাইনি। পরে, বুঝতে পারছি যে ফ্ল্যাট আমার কেনার কথা ছিল তার চুক্তিপত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকেই।’ গৌরী খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার (বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ) অধীনে FIR দায়ের করা হয় সেই সময়। অভিযোগে মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ দাবি করেন তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌরী খানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই ফ্ল্যাট কেনেন ওই সংস্থা মারফত।
নয়াদিল্লি : লোকসভা থেকে ৯৫ জন ও রাজ্যসভা থেকে ৪৬ জন। মোট ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার পর এবার তাঁদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করল লোকসভার সচিবালয়। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংসদের চেম্বার, লবি বা গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ভারতীয় সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের সংখ্য়া সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে! সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলের মোট ১৪১ জন সাংসদ। এর মধ্যে, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৯৫ জন সাংসদকে। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মোট ৪৬ জন সাংসদকে।
লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে, জোট ইন্ডিয়ার সাংসদ রয়েছেন ১৪২ জন। তার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন ৯৫ জন। অন্যদিকে, রাজ্যসভার ২৫০ টি আসনের মধ্যে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ রয়েছেন ১০১ জন। যার মধ্যে ৪৬ জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী জোটের ৫৮ শতাংশ সাংসদকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে, সব জায়গায় যে ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে, এটা সমবেতভাবে বিরোধীদের একটা ‘পলিটিকাল স্পিন’।
বিরোধীরা চাইছে সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিন। কিন্তু তাঁরা তা দিতে নারাজ। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
প্রণব মুখোপাধ্য়ায় তাঁর বই.. দ্য় প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স ২০১২-২০১৭-তে লিখেছেন, জওহরলাল নেহরুর সময় বিতর্ক বিরোধিতা এবং আলোচনার দিকটি বিশেষ করে সমৃদ্ধ হয়। নেহরু শুধুমাত্র বিতর্কে উৎসাহই দিতেন না, মতবিরোধকেও সম্মান করতেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী-সহ বহু বিরোধী নেতা সংসদে দাগ কাটতে পেরেছিলেন তার কারণ সেই সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বক্তব্য, অবস্থান এবং সমালোচনাকে প্রকাশ করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হত। জওহরলাল নেহরুই হোন বা ইন্দিরা গাঁধী, মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ী — প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিতেন।
সংসদে সাংসদদের বিরোধিতার রীতি চলে আসছে বহু দশক ধরে। বিজেপি বনাম কংগ্রেস-তৃণমূল নয়, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে এযাবৎ এই রীতিই চলে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সময় না পাওয়া গেলে, সরকার প্রশ্নের উত্তর না দিলে, ট্রেজারি বেঞ্চের প্রতিশোধপূর্ণ আচরণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন বিঘ্ন ঘটানো হলে এবং উপদ্রব ঘটানো সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করা হলে, বিক্ষোভ দেখান সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে দিতে বাধ্য সরকার। গত ৭০ বছর ধরে এই রীতিতে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।