Life Certificate: এই নথি জমা না দিলে বন্ধ হবে পেনশন (Pension)। অক্টোবর থেকেই সুপার সিনিয়র সিটিজেন বা ৮০ বছরের বেশি বয়সীরা জমা দিতে পারছেন লাইফ সার্টিফিকেট (Jeevan Pramaan Patra)। আপনিও বাড়ি বসেই এই পাঁচ উপায়ে জমা দিতে পারবেন লাইফ সর্টিফিকেট।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রতিরক্ষা কর্মীদের পেনশন সহ দেশে প্রায় 70 লক্ষ পেনশনভোগী রয়েছেন। এই পেনশনভোগীরা পেনশন বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ (PDAs) যেমন ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য পেনশন পান৷ পেনশনভোগীরা প্রতি বছর নভেম্বর মাসে এই PDA-কে ব্যক্তিগতভাবে জীবন প্রমাণ পত্র জমা দিতে হয়৷ নির্ধারিত বিন্যাসে শংসাপত্র।
ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট
ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (DLC) পেনশনভোগীদের অর্থ প্রদানকারী সংস্থার অফিসে শারীরিকভাবে না গিয়ে তাদের অস্তিত্ব প্রমাণের একটি সুবিধাজনক উপায় । 2014 সালের নভেম্বরে সরকার এই পরিষেবাটি আধার-সক্ষম বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের উপর নির্ভর করে তৈরি করে। যা এখন পেনশনহোল্ডারদের ডিজিটালি জীবন প্রমাণপত্র তৈরি করতে দেয়।
আপনার বাড়ি থেকে জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য এখানে কয়েকটি সহজ উপায় রয়েছে:
আধার ভিত্তিক অনলাইন ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেশন (DLC) – জীবন প্রমাণ
যে পেনশনভোগী/পরিবার পেনশনভোগী একটি ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র ইস্যু করার জন্য এই অনলাইন সুবিধাটি ব্যবহার করতে চান, তাদের একটি আধার নম্বর থাকতে হবে। সেই ক্ষেত্রে পেনশন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পেনশন পেমেন্ট অর্ডার এবং পেনশনভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার নম্বরটি যুক্ত করা উচিত,এটি আপনার ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস।
পেনশনভোগীদের জন্য ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট প্রদানের প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
ধাপ 1. পেনশনভোগীকে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি ব্যবহার করে নথিভুক্ত এবং বায়োমেট্রিকভাবে নিজের বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে হবে। (ক) পেনশনভোগী যেকোনও অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট/স্মার্টফোন বা উইন্ডোজ পিসিতে jeevanpramaan.gov.in থেকে একটি ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র তৈরির জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে পারেন। এর জন্য পেনশনভোগীকে বাজার থেকে একটি কম দামের ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার/আইরিস স্ক্যানারও পেতে হবে এবং বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের জন্য ট্যাবলেট/স্মার্টফোন/পিসির USB পোর্টে প্লাগ ইন করতে হবে। পরে তার আধার নম্বর এবং তাদের পেনশন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য বিবরণ দিয়ে এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
(b) পেনশনভোগী একটি কাছাকাছি কমন সার্ভিস সেন্টার (CSC), ব্যাঙ্ক শাখা বা যেকোনও সরকারি অফিসে যেতে পারেন, যার বিবরণ বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের জন্য jeevanpramaan.gov.in-এ ‘লোকেট সেন্টার’-এর অধীনে দেওয়া আছে।
(c) যদি পেনশনভোগী ইতিমধ্যেই সিস্টেমে নথিভুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তার ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের তারিখ আপডেট করার জন্য তার বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের জন্য তাকে শুধুমাত্র তার আধার নম্বর দিতে হবে।
ধাপ 2. ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট সফলভাবে জমা দেওয়ার পর, পেনশনভোগীকে তার মোবাইলে লেনদেন আইডি দিয়ে একটি এসএমএস পাঠানো হবে। পেনশনভোগীরা তাদের রেকর্ডের জন্য www.jeevanpramaan.gov.in ওয়েবসাইট থেকে কম্পিউটার-জেনারেটেড লাইফ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার জন্য এই লেনদেন আইডি ব্যবহার করতে পারেন।
মুখের প্রমাণীকরণের মাধ্যমে জীবন শংসাপত্র
পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ বিভাগ, UIDAI এবং MeitY-এর সহযোগিতায় পেনশনভোগীদের ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য ফেস অথেনটিকেশন প্রযুক্তি চালু করেছে।
পেনশনভোগীরা UIDAI আধার-ভিত্তিক ফেস প্রমাণীকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুবিধামত তাদের জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন। তারা নিজেদের একটি লাইভ স্ন্যাপশট ক্যাপচার করে এবং অনলাইনে আপলোড করে যেকোনও অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক স্মার্টফোন ব্যবহার করে জীবন প্রমাণপত্র মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একটি ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি করতে পারেন। এখানে রইল পদক্ষেপ।
আগে আপনার কাছে Google Play Store থেকে ডাউনলোডের জন্য উপলব্ধ ‘Aadhaar Face RD (Early Access) Application’-এর সর্বশেষ সংস্করণ রয়েছে তা নিশ্চিত করুন৷
আপনার স্মার্টফোনে ‘জীবন প্রমাণ’ অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
জীবন প্রমাণ অ্যাপের মধ্যে আপনার আধার (UID) নম্বর, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি এবং আরও অনেক কিছু সহ আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ প্রদান করুন।
প্রয়োজনীয় তথ্য প্রবেশের পর ‘সাবমিট’-এ ক্লিক করুন।
আপনি আপনার মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি উভয়েই একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) পাবেন।
আপনার পরিচয় যাচাই করতে OTP জমা দিন।
আপনার আধার কার্ডে প্রদর্শিত নামটি লিখুন এবং অনুরোধ করা হলে স্ক্যান বিকল্পটি নির্বাচন করুন।
অ্যাপটি একটি ফেস স্ক্যানের জন্য অনুমতির অনুরোধ করবে, যা আপনি প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে দিতে পারেন।
প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে ‘হ্যাঁ’-তে ক্লিক করুন।
এখন, স্ক্যানিংয়ের সাথে এগিয়ে যেতে ‘I am aware of this’ বোতামে ক্লিক করুন। অ্যাপটি তারপর ফটো স্ক্যান করে রেকর্ড করবে।
প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পরে, স্ক্রিনটি প্রমাণ আইডি এবং পিপিও নম্বর সহ জমা দেখাবে।
ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক (IPPB) এর মাধ্যমে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (DLC) জমা দেওয়া
ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক (IPPB) এবং Meity-এর সহযোগিতায় পেনশন ও পেনশনভোগীদের কল্যাণ বিভাগ নভেম্বর 2020-এ “পোস্টম্যান দ্বারা ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য ডোরস্টেপ পরিষেবা” চালু করেছে। পেনশনভোগীরা “ডাউনলোড করে এই পরিষেবাটি অ্যাক্সেস করতে পারেন।” গুগল প্লে স্টোর থেকে পোস্টইনফো অ্যাপ”নামান। আইপিপিবি ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট তৈরির জন্য ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি অফার করতে স্মার্টফোন এবং বায়োমেট্রিক ডিভাইসে সজ্জিত পোস্টম্যান এবং গ্রামীণ ডাক সেবকদের বিস্তৃত নেটওয়ার্ককে কাজে লাগান।
ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়া
পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কস (PSB) অ্যালায়েন্স, 12টি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের সমন্বয়ে ভারত জুড়ে 100টি বড় শহরে গ্রাহকদের কাছে “ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং” পরিষেবা দিচ্ছে৷ এই পরিষেবার মধ্যে লাইফ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা আছে। ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার একজন প্রতিনিধি পেনশনভোগীর বাড়িতে যাবেন৷ এই পরিষেবার সময়সূচি একটি মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা একটি টোল-ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে হয়।
মনোনীত কর্মকর্তা দ্বারা স্বাক্ষরিত জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়া
পেনশনভোগীরা এই ক্ষেত্রে জীবন শংসাপত্র জমা দিতে একজন “নির্ধারিত কর্মকর্তা”-র স্বাক্ষর নিতে পারেন । এই ক্ষেত্রে পেনশনহোল্ডারের ব্যক্তিগত উপস্থিতির প্রয়োজন পড়ে না।
নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) ‘ডিপফেক’ ভিডিও (Deepfake Video) মামলায় খোঁজ মিলল চার সন্দেহভাজনের। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) খোঁজ পেয়েছে চার জনের (four suspects)। বুধবার সকালে এমনই খবর মিলল, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে (Source ANI)।
রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও মামলায় খোঁজ মিলল ৪ সন্দেহভাজনের
ভারতে সম্প্রতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ‘ডিপফেক’ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কারচুপি। একের পর এক এই ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন একাধিক ভারতীয় অভিনেত্রী। এঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমদিকেই এই কারচুপির শিকার হন রশ্মিকা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই ‘ডিপফেক’ ভিডিও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তে দিল্লি পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনের সন্ধান পেয়েছে। ANI সূত্রে খবর, এরা প্রত্যেকেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা ভিডিওটি তৈরি করেননি। ফলে মূল সন্দেহভাজনের খোঁজ এখনও চলছে।
Delhi Police say it has tracked down four suspects, who turned out to be uploaders, not the creators, involved in the case of deep fake profiles of actor Rashmika Mandana. Police are looking are the key conspirator in the case.
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই ‘ডিপফেক’-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও। তবে তাঁর ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন কাজল, আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকা অভিনেত্রীরা।
খবর মিলেছে বলিউডের কিং খানের স্ত্রী, ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং প্রযোজক গৌরী খানকে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। যদিও এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ এই তথ্য ভুয়ো বলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘গৌরী খান লখনউয়ের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থা তুলসিয়ানি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যদিও ফার্মের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু গৌরীকে ইডির নোটিস পাঠানোর খবর সবটাই ভুয়ো।’
সূত্রের আরও দাবি, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তুলসিয়ানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্কের প্রায় ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনও মামলার সঙ্গে গৌরীর কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আধিকারিকরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন।’
চলতি বছরে মার্চ মাসের শুরুতে বিশ্বাসভঙ্গের (criminal breach of trust) অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয় গৌরী খানের বিরুদ্ধে। লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশনে গৌরী খান-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গৌরী ছাড়া অপর দু’জন হলেন ‘তুলসিয়ানি গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল তুলসিয়ানি ও ডিরেক্টর মহেশ তুলসিয়ানি। অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ। তাঁর অভিযোগ ২০১৫ সালে ‘তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন গৌরী খান। তিনি FIR-এ উল্লেখ করেছেন, ‘ওই বছরই আমি সংস্থার সুশান্ত গল্ফ সিটির অফিসে যাই এবং সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করি এবং ৮৬ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ শাহের অভিযোগ, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটের চাবি আমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই থেকে অনেকটা সময় কেটে গেছে এবং আমি এখনও ফ্ল্যাট পাইনি। পরে, বুঝতে পারছি যে ফ্ল্যাট আমার কেনার কথা ছিল তার চুক্তিপত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকেই।’ গৌরী খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার (বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ) অধীনে FIR দায়ের করা হয় সেই সময়। অভিযোগে মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ দাবি করেন তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌরী খানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই ফ্ল্যাট কেনেন ওই সংস্থা মারফত।
নয়াদিল্লি : লোকসভা থেকে ৯৫ জন ও রাজ্যসভা থেকে ৪৬ জন। মোট ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার পর এবার তাঁদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করল লোকসভার সচিবালয়। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংসদের চেম্বার, লবি বা গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ভারতীয় সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের সংখ্য়া সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে! সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলের মোট ১৪১ জন সাংসদ। এর মধ্যে, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৯৫ জন সাংসদকে। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মোট ৪৬ জন সাংসদকে।
লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে, জোট ইন্ডিয়ার সাংসদ রয়েছেন ১৪২ জন। তার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন ৯৫ জন। অন্যদিকে, রাজ্যসভার ২৫০ টি আসনের মধ্যে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ রয়েছেন ১০১ জন। যার মধ্যে ৪৬ জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী জোটের ৫৮ শতাংশ সাংসদকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে, সব জায়গায় যে ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে, এটা সমবেতভাবে বিরোধীদের একটা ‘পলিটিকাল স্পিন’।
বিরোধীরা চাইছে সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিন। কিন্তু তাঁরা তা দিতে নারাজ। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
প্রণব মুখোপাধ্য়ায় তাঁর বই.. দ্য় প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স ২০১২-২০১৭-তে লিখেছেন, জওহরলাল নেহরুর সময় বিতর্ক বিরোধিতা এবং আলোচনার দিকটি বিশেষ করে সমৃদ্ধ হয়। নেহরু শুধুমাত্র বিতর্কে উৎসাহই দিতেন না, মতবিরোধকেও সম্মান করতেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী-সহ বহু বিরোধী নেতা সংসদে দাগ কাটতে পেরেছিলেন তার কারণ সেই সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বক্তব্য, অবস্থান এবং সমালোচনাকে প্রকাশ করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হত। জওহরলাল নেহরুই হোন বা ইন্দিরা গাঁধী, মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ী — প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিতেন।
সংসদে সাংসদদের বিরোধিতার রীতি চলে আসছে বহু দশক ধরে। বিজেপি বনাম কংগ্রেস-তৃণমূল নয়, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে এযাবৎ এই রীতিই চলে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সময় না পাওয়া গেলে, সরকার প্রশ্নের উত্তর না দিলে, ট্রেজারি বেঞ্চের প্রতিশোধপূর্ণ আচরণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন বিঘ্ন ঘটানো হলে এবং উপদ্রব ঘটানো সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করা হলে, বিক্ষোভ দেখান সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে দিতে বাধ্য সরকার। গত ৭০ বছর ধরে এই রীতিতে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।