নয়া দিল্লি: রাশিয়া (Russia)-ইউক্রেনের (Ukrain) রক্তক্ষয়ী সংঘাত আজও টাটকা বিশ্ববাসীর মনে। সেই ক্ষত মেলানোর আগেই ফের ‘যুদ্ধ’, ফের সাইরেনের সুর। ভূমধ্যসাগরের ওপারে বেজে উঠল যুদ্ধের দামামা।
শনিবার দিনের আলো ফুটতেই, হঠাৎ ইজরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম এবং আশেপাশের এলাকা জুড়ে শুরু হয়ে যায় অবিরাম রকেট হামলা অভিযোগ, ওঠে প্যালেস্তাইনের মদতপুষ্ট হামাস বাহিনী রয়েছে এই হামলার নেপথ্যে। কয়েক হাজারের ওপর রকেট হামলায় গাজা যেন ধ্বংসস্তুপ। রাস্তায় রক্তাক্ত দেহ, বারুদ আর পোড়া গন্ধে, ভারী বাতাস, গোটা শহরজুড়ে কামানের গোলার ক্ষত।
ইজরায়েলের জাতীয় উদ্ধারকারী পরিষেবা জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই মৃত্যুসংখ্যা তিনশো পেরিয়েছে। আহত কয়েক হাজার। অন্যদিকে, প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ‘পাল্টা হামলা’য় অন্তত ১৯৮ জন নিহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১,৬১০ জন আহত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে অবশ্য ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোশাল মিডিয়ায় বাইডেন বলেন, ‘বিশ্ব এখন এক বিভীষিকাময় চিত্র দেখছে। ইজরায়েলের একাধিক শহরে বৃষ্টির মতো রকেট হামলা হয়ে চলেছে। হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী শুধু ইজরায়েলি সেনাদেরই নয়, রাস্তায় হেঁটে চলা সাধারণ মানুষদেরও হত্যা করে চলেছে। এর কোনও যুক্তি নেই। ইজরায়েল সব অধিকার দিয়েই এই লড়াইকে শেষ করুক। বন্ধ হওয়া দরকার সব।
ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, এই নৃশংসতার বর্বরতা বিরুদ্ধে আমরা। ইজরায়েলের পাশে আছি। হামাসের এই হামলা কাপুরুষোচিত এবং অবমাননাকর। আমরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আমাদের পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছি । আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করব। পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লেখেন, ‘ইজরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। নিরীহ মানুষজন এবং তাঁদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি। এই কছিন সময়ে ইজরায়েলের পাশে আছি’। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁও ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, রাস্তায় ছড়িয়ে রক্তাক্ত দেহ, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, গুরুতর হচ্ছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন ‘যুদ্ধাবস্থা’
Read More