Small Saving Schemes: সরকারি স্কিমেও (Small Saving Scheme) রয়েছে বেশি সুদ। শেয়ার বাজারের অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে এখানে করতে পারেন বিনিয়োগ। কন্যাশিশু থেকে প্রবীণ নাগরিক সবার জন্য রয়েছে আলাদা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের সুবিধা। এখানে রইল দশটি প্রকল্পের সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য।
1. National Savings (Monthly Income Account) Scheme
ন্যূনতম 1000 টাকার গুণিতকে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
একজনের অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক 9 লক্ষ টাকা এবং যৌথ অ্যাকাউন্টে 15 লক্ষ টাকা রাখা যাবে।
অ্যাকাউন্টের ম্যাচুরিটি পিরিয়ড 5 বছর।
একজন আমানতকারী এই স্কিমে একটির বেশি অ্যাকাউন্ট করতে পারে। এ ছাড়াও একক বা যৌথ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
যদি অ্যাকাউন্টটি তিন বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বন্ধ হয়ে যায় তবে জমার 1% কেটে নেওয়া হবে।
সুদের হার: (1 জুলাই থেকে 30 সেপ্টেম্বর, 2023)- 7.4%
2. National Savings Time Deposit Account
টাইম ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের চারটি বিভাগ রয়েছে – 1 বছর, 2 বছর, 3 বছর এবং 5 বছর
ন্যূনতম আমানত 1000 টাকা এবং তারপরে 100 টাকার গুণিতক।
কোনও সর্বোচ্চ জমার সীমা নেই।
একটি অ্যাকাউন্ট ছয় মাস পরে বন্ধ করা যেতে পারে। যেখানে অ্যাকাউন্টে আমানত ছয় মাস পরে কিন্তু এক বছরের আগে প্রত্যাহার করা হয়, POSA হারে সহজ সুদ দেওয়া হয়।
5 বছরের টাইম ডিপোজিটে ডিপোজিট আয়কর আইনের 80-C এর ধারায় ছাড়ের যোগ্য।
সুদ: (জুলাই 1-সেপ্টেম্বর 30, 2023)- 6.90 (1 বছর) 7 (2 বছর) 7 (3 বছর) এবং 7.5% (5 বছর)।
3. Senior Citizens Savings Scheme
সর্বনিম্ন আমানত 1000 টাকার গুণিতক এবং সর্বোচ্চ 30 লক্ষ টাকা।
একজন ব্যক্তি যিনি অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখে 60 বছর বা তার বেশি বয়সে পৌঁছেছেন বা একজন ব্যক্তি যিনি 55 বছর বা তার বেশি কিন্তু 60 বছরের কম বয়সে পৌঁছেছেন তারা এখানে খাত খুলতে পারেন। এ ছাড়াও সুপারঅ্যানুয়েশন, ভিআরএস বা বিশেষ ভিআরএসের অধীনে অবসর নিয়েছেন এমন ব্যক্তিরা এখানে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
ডিফেন্স সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা (অসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মচারী ব্যতীত) অন্যান্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে পঞ্চাশ বছর বয়সে এখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
একজন আমানতকারী স্বতন্ত্রভাবে বা স্ত্রীর সাথে যৌথভাবে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে 5 বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা যেতে পারে।
আমানতকারী অ্যাকাউন্টটি আরও 3 বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারে।
মেয়াদ পূরণের আগে কিছু শর্ত সাপেক্ষে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা যেতে পারে।
SCSS-এ আমানত আয়কর আইনের 80-C এর অধীনে ছাড়ের যোগ্য।
সুদের হার: (1 জুলাই থেকে 30 সেপ্টেম্বর, 2023)- 8.20%
4. National Saving certificate (VIII issue)
ন্যূনতম আমানত 1000/- টাকা এবং তারপরে 100 টাকার গুণিতকে টাকা জমা করা যেতে পারে।
অ্যাকাউন্ট 5 বছরে ম্যাচিওর হয়
কোনও সর্বোচ্চ জমার সীমা নেই।
একজন সিঙ্গল হোল্ডার টাইপ অ্যাকাউন্ট প্রাপ্তবয়স্ক হলে বা তার নিজের জন্য বা নাবালকের জন্য খুলতে পারে।
10 বছর বয়সে নাবালকের একটি সিঙ্গল হোল্ডার টাইপ অ্যাকাউন্টও খোলা যেতে পারে।
ঋণের সুবিধা পাওয়া যায়।
সুদ: (1 জুলাই থেকে 30 সেপ্টেম্বর, 2023)- 7.7%।
5. Public Provident Fund Scheme
একটি আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন আমানত 500 টাকা এবং সর্বোচ্চ আমানত 1,50,000 টাকা৷
তৃতীয় আর্থিক বছর থেকে ষষ্ঠ আর্থিক বছর পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাওয়া যায়।
সপ্তম আর্থিক বছর থেকে প্রতি বছর টাকা তোলা যায়।
যে বছর অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল সেই বছরের শেষ থেকে পনেরটি সম্পূর্ণ আর্থিক বছর পূর্ণ হলে অ্যাকাউন্ট ম্যাচিওর হয়।
মেয়াদপূর্তির পরে অ্যাকাউন্টটি আরও 5 বছরের জন্য বাড়ানো যেতে পারে।
আমানত I.T.Act-এর Sec.80-C-এর এতে কর ছাড় দেয়।
অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদ I.T.Act এর ধারা -10 এর অধীনে আয়কর থেকে মুক্ত।
সুদের হার: 7.1%
6. Sukanya Samriddhi Account
একটি আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন আমানত 250 টাকা এবং সর্বোচ্চ আমানত 1.5 লক্ষ টাকা৷
একটি কন্যাশিশুর বয়স 10 বছর না হওয়া পর্যন্ত তার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।
একটি কন্যাশিশুর নামে শুধুমাত্র একটি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
পোস্ট অফিস এবং অনুমোদিত ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।
শিক্ষার খরচ মেটাতে অ্যাকাউন্টধারীর উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হবে।
18 বছর বয়সে পৌঁছানোর পরে কোনও মেয়ে সন্তানের বিবাহের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টটি সময়ের আগেই বন্ধ করা যেতে পারে।
অ্যাকাউন্টটি ভারতের যেকোনও জায়গায় পোস্ট অফিস/ব্যাঙ্ক থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যেতে পারে।
অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে 21 বছর পূর্ণ হলে অ্যাকাউন্টটি ম্যাচিওর হবে।
আমানত I.T.Act-এর Sec.80-C-এর অধীনে কর ছাড়ের যোগ্য।
অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদ I.T.Act এর ধারা -10 এর অধীনে আয়কর থেকে মুক্ত।
সুদের হার: 8%
7. Mahila Samman Saving Certificate
মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিম হল 2023 সালের বাজেটে ঘোষিত ভারত সরকারের একটি এককালীন নতুন স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প।
এটি আংশিক উত্তোলনের বিকল্প সহ 7.5 শতাংশ নির্দিষ্ট সুদের হারে 2 বছরের মেয়াদের জন্য মহিলা বা মেয়েদের নামে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমানত সুবিধা অফার করে৷
8. Kisan Vikas Patra
সর্বনিম্ন 1000 টাকা এবং তারপরে 100 টাকার গুণিতকে বিনিয়োগ করা যায়।
কোনও সর্বোচ্চ জমার সীমা নেই।
একটি সিঙ্গল হোল্ডার টাইপ অ্যাকাউন্ট একজন প্রাপ্তবয়স্ক তার নিজের জন্য বা নাবালকের হয়ে খুলতে পারে।
10 বছর বয়সে নাবালকের দ্বারা একটি সিঙ্গল হোল্ডার টাইপ অ্যাকাউন্টও খোলা যায়।
পোস্ট অফিস এবং অনুমোদিত ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।
কিষাণ বিকাশ পত্র এক ব্যক্তির থেকে অন্যের কাছে এবং এক পোস্ট অফিস থেকে অন্য পোস্ট অফিসে স্থানান্তর করা যেতে পারে।
কিষাণ বিকাশ পত্র নিম্নলিখিত হারে বিনিয়োগের তারিখ থেকে আড়াই বছর পরে টাকা তোলা যেতে পারে।
মেয়াদপূর্তিতে টাকা দ্বিগুণ হয়।
সুদের হার: 7.5% (115 মাস মেয়াদি)
9. Recurring Deposit Account Scheme
এই স্কিমে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন 100 টাকা জমা করা যেতে পারে যার সর্বোচ্চ সীমা নির্দিষ্ট করা নেই।
আমানতকারীর বিকল্পে 6 মাস বা 12 মাসের জন্য অগ্রিম আমানত করা যেতে পারে এবং রিবেট উপার্জন করতে পারে।
স্কিম অ্যাকাউন্ট 5 বছরে পরিপক্ক হয়। অ্যাকাউন্ট খোলার এক বছর পরে বিদ্যমান ব্যালেন্সের 50% পরিমাণে প্রত্যাহার করা অনুমোদিত।
একটি পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট (POSA) এর হারে সহজ সুদের সাথে 3 বছর পরে অ্যাকাউন্ট অকালে বন্ধ করা যেতে পারে।
বর্তমানে, 5 বছরের RD-এ সুদের হার 6.5%
10. Post Office Saving Account
এই স্কিমে ন্যূনতম 500 টাকার আমানত প্রয়োজন এবং কোনও সর্বোচ্চ জমার সীমা নেই।
একজন ব্যক্তি তার নিজের নামে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সাথে যৌথভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অ্যাকাউন্টটি নাবালকের জন্য খোলা যেতে পারে।
এছাড়াও একজন নাবালক যিনি 10 বছর বয়সে পৌঁছেছে সে স্বাধীনভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
10,000 টাকা পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে সুদ আয়কর আইনের অধীনে একটি আর্থিক বছরে আয় থেকে কাটার যোগ্য।
স্কিমটি 4 শতাংশ সুদের হার অফার করছে।
নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) ‘ডিপফেক’ ভিডিও (Deepfake Video) মামলায় খোঁজ মিলল চার সন্দেহভাজনের। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) খোঁজ পেয়েছে চার জনের (four suspects)। বুধবার সকালে এমনই খবর মিলল, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে (Source ANI)।
রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও মামলায় খোঁজ মিলল ৪ সন্দেহভাজনের
ভারতে সম্প্রতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ‘ডিপফেক’ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কারচুপি। একের পর এক এই ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন একাধিক ভারতীয় অভিনেত্রী। এঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমদিকেই এই কারচুপির শিকার হন রশ্মিকা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই ‘ডিপফেক’ ভিডিও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তে দিল্লি পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনের সন্ধান পেয়েছে। ANI সূত্রে খবর, এরা প্রত্যেকেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা ভিডিওটি তৈরি করেননি। ফলে মূল সন্দেহভাজনের খোঁজ এখনও চলছে।
Delhi Police say it has tracked down four suspects, who turned out to be uploaders, not the creators, involved in the case of deep fake profiles of actor Rashmika Mandana. Police are looking are the key conspirator in the case.
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই ‘ডিপফেক’-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও। তবে তাঁর ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন কাজল, আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকা অভিনেত্রীরা।
খবর মিলেছে বলিউডের কিং খানের স্ত্রী, ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং প্রযোজক গৌরী খানকে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। যদিও এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ এই তথ্য ভুয়ো বলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘গৌরী খান লখনউয়ের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থা তুলসিয়ানি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যদিও ফার্মের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু গৌরীকে ইডির নোটিস পাঠানোর খবর সবটাই ভুয়ো।’
সূত্রের আরও দাবি, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তুলসিয়ানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্কের প্রায় ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনও মামলার সঙ্গে গৌরীর কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আধিকারিকরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন।’
চলতি বছরে মার্চ মাসের শুরুতে বিশ্বাসভঙ্গের (criminal breach of trust) অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয় গৌরী খানের বিরুদ্ধে। লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশনে গৌরী খান-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গৌরী ছাড়া অপর দু’জন হলেন ‘তুলসিয়ানি গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল তুলসিয়ানি ও ডিরেক্টর মহেশ তুলসিয়ানি। অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ। তাঁর অভিযোগ ২০১৫ সালে ‘তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন গৌরী খান। তিনি FIR-এ উল্লেখ করেছেন, ‘ওই বছরই আমি সংস্থার সুশান্ত গল্ফ সিটির অফিসে যাই এবং সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করি এবং ৮৬ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ শাহের অভিযোগ, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটের চাবি আমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই থেকে অনেকটা সময় কেটে গেছে এবং আমি এখনও ফ্ল্যাট পাইনি। পরে, বুঝতে পারছি যে ফ্ল্যাট আমার কেনার কথা ছিল তার চুক্তিপত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকেই।’ গৌরী খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার (বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ) অধীনে FIR দায়ের করা হয় সেই সময়। অভিযোগে মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ দাবি করেন তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌরী খানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই ফ্ল্যাট কেনেন ওই সংস্থা মারফত।
নয়াদিল্লি : লোকসভা থেকে ৯৫ জন ও রাজ্যসভা থেকে ৪৬ জন। মোট ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার পর এবার তাঁদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করল লোকসভার সচিবালয়। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংসদের চেম্বার, লবি বা গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ভারতীয় সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের সংখ্য়া সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে! সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলের মোট ১৪১ জন সাংসদ। এর মধ্যে, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৯৫ জন সাংসদকে। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মোট ৪৬ জন সাংসদকে।
লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে, জোট ইন্ডিয়ার সাংসদ রয়েছেন ১৪২ জন। তার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন ৯৫ জন। অন্যদিকে, রাজ্যসভার ২৫০ টি আসনের মধ্যে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ রয়েছেন ১০১ জন। যার মধ্যে ৪৬ জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী জোটের ৫৮ শতাংশ সাংসদকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে, সব জায়গায় যে ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে, এটা সমবেতভাবে বিরোধীদের একটা ‘পলিটিকাল স্পিন’।
বিরোধীরা চাইছে সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিন। কিন্তু তাঁরা তা দিতে নারাজ। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
প্রণব মুখোপাধ্য়ায় তাঁর বই.. দ্য় প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স ২০১২-২০১৭-তে লিখেছেন, জওহরলাল নেহরুর সময় বিতর্ক বিরোধিতা এবং আলোচনার দিকটি বিশেষ করে সমৃদ্ধ হয়। নেহরু শুধুমাত্র বিতর্কে উৎসাহই দিতেন না, মতবিরোধকেও সম্মান করতেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী-সহ বহু বিরোধী নেতা সংসদে দাগ কাটতে পেরেছিলেন তার কারণ সেই সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বক্তব্য, অবস্থান এবং সমালোচনাকে প্রকাশ করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হত। জওহরলাল নেহরুই হোন বা ইন্দিরা গাঁধী, মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ী — প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিতেন।
সংসদে সাংসদদের বিরোধিতার রীতি চলে আসছে বহু দশক ধরে। বিজেপি বনাম কংগ্রেস-তৃণমূল নয়, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে এযাবৎ এই রীতিই চলে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সময় না পাওয়া গেলে, সরকার প্রশ্নের উত্তর না দিলে, ট্রেজারি বেঞ্চের প্রতিশোধপূর্ণ আচরণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন বিঘ্ন ঘটানো হলে এবং উপদ্রব ঘটানো সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করা হলে, বিক্ষোভ দেখান সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে দিতে বাধ্য সরকার। গত ৭০ বছর ধরে এই রীতিতে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।