Bank Fraud Alert: দেশে ডিজিটালাইজেশনের যুগে বদলে গিয়েছে টাকা লেনদেনর পদ্ধতি। এখন আগের থেকে অনেক সহজে নিমেষেই পাঠানো যায় টাকা। তবে এই অনলাইন পেমেন্টের (Online Payment) মধ্যেই রয়েছে আর্থিক ফাঁদ । প্রতারকরা এই পেমেন্ট মোডকে হাতিয়ার করে ফাঁকা করছে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তাই এই বিষয়গুলি এড়িয়ে চলুন।
ব্যাঙ্কিং সেবা ডিজিটালাইজেশনের ফলে মানুষের কাজ সহজ হয়েছে। এরকম অনেক কাজ, যার জন্য আগে ব্যাঙ্ক শাখায় যেতে হত, এখন ঘরে বসেই করা যায়। তবে এর পাশাপাশি বেড়েছে বিপদও। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং জালিয়াতির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হল, অপরাধীরা নিরীহ মানুষকে তাদের অর্থ এবং সঞ্চয় প্রতারণা করার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে। বেসরকারি খাতের ICICI ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের এমনই একটি নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
ব্যাঙ্ক ইমেলে পাঠাচ্ছে সতর্ক বার্তা
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এ বার ইমেলের মাধ্যমে সব গ্রাহকদের সতর্ক করেছে। গ্রাহকদের পাঠানো ইমেইলে ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, অপরাধীরা নিজেদের ব্যাঙ্কের কর্মচারী দাবি করে প্রতারণা করছে। ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের সতর্ক করেছে যে অপরাধীরা ব্যাঙ্কের কর্মচারী বা অফিসার হিসাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং গোপন তথ্য চাইতে পারে। আপনি যদি তাদের সাথে তথ্য শেয়ার করে নেওয়ার ভুল করেন তবে আপনি প্রতারিত হবেন।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের মতে,এই ধরনের অপরাধীরা আপনার কাছ থেকে ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল তথ্য চাইতে পারে, যা কোনও ব্যাঙ্ক কর্মী কখনও গ্রাহকের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে না। ইমেইলে গ্রাহকদের বলা হয়েছে তাদের অর্থ বাঁচাতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।
একটি ভুল করলেই আপনাকে মূল্য চোকাতে হবে
ইমেইলে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র একটি ভুলের কারণে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ হারাতে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে ব্যাঙ্ক কর্মচারী বলে পরিচয় দেবে এই প্রতারকরা। আপনি এমন কল পেতে পারেন, যাতে অন্য প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে একজন ব্যাঙ্ক কর্মচারী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেবেন। আপনার বিশ্বাস অর্জন করতে, তিনি আপনাকে তার নাম এবং কর্মী আইডিও বলতে পারেন। আপনার আস্থা অর্জন করার পরে, তিনি আপনার কাছে OTP, CVV, কার্ড নম্বর, পাসওয়ার্ডের মতো তথ্য চাইতে পারেন।
এই ধরনের ব্লাফ দেওয়া হতে পারে
আপনাকে প্রতারিত করার জন্য বলা হতে পারে যে, আপনার ক্রেডিট কার্ড আপগ্রেড করতে হবে। এর পরে ক্রেডিট কার্ড আপগ্রেড করতে এবং ক্রেডিট সীমা বাড়ানোর জন্য আপনাকে কার্ড নম্বর, CVV এবং OTP চাওয়া হতে পারে। যত তাড়াতাড়ি আপনি তাদের এই সব বলবেন, তারা আপনার কার্ড খালি করে দেবে। তাই কখনোই কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করবেন না।
এইভাবে রিপোর্ট করুন
ব্যাঙ্ক কখনই আপনার কাছ থেকে এই ধরনের তথ্য চায় না। ব্যাঙ্ক কখনই আপনাকে অন্য কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে বলে না। আপনি যদি কখনও এই ধরনের তথ্যের জন্য জিজ্ঞাসা করা কোনও সন্দেহজনক কল পান, তবে আপনাকে অবিলম্বে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইমকে তা জানাতে হবে। এর জন্য আপনি তাদের ওয়েবসাইট cybercrime.gov.in দেখতে পারেন বা হেল্পলাইন নম্বর 1930 এ কল করতে পারেন।
নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) ‘ডিপফেক’ ভিডিও (Deepfake Video) মামলায় খোঁজ মিলল চার সন্দেহভাজনের। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) খোঁজ পেয়েছে চার জনের (four suspects)। বুধবার সকালে এমনই খবর মিলল, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে (Source ANI)।
রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও মামলায় খোঁজ মিলল ৪ সন্দেহভাজনের
ভারতে সম্প্রতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ‘ডিপফেক’ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কারচুপি। একের পর এক এই ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন একাধিক ভারতীয় অভিনেত্রী। এঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমদিকেই এই কারচুপির শিকার হন রশ্মিকা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই ‘ডিপফেক’ ভিডিও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তে দিল্লি পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনের সন্ধান পেয়েছে। ANI সূত্রে খবর, এরা প্রত্যেকেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা ভিডিওটি তৈরি করেননি। ফলে মূল সন্দেহভাজনের খোঁজ এখনও চলছে।
Delhi Police say it has tracked down four suspects, who turned out to be uploaders, not the creators, involved in the case of deep fake profiles of actor Rashmika Mandana. Police are looking are the key conspirator in the case.
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই ‘ডিপফেক’-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও। তবে তাঁর ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন কাজল, আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকা অভিনেত্রীরা।
খবর মিলেছে বলিউডের কিং খানের স্ত্রী, ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং প্রযোজক গৌরী খানকে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। যদিও এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ এই তথ্য ভুয়ো বলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘গৌরী খান লখনউয়ের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থা তুলসিয়ানি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যদিও ফার্মের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু গৌরীকে ইডির নোটিস পাঠানোর খবর সবটাই ভুয়ো।’
সূত্রের আরও দাবি, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তুলসিয়ানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্কের প্রায় ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনও মামলার সঙ্গে গৌরীর কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আধিকারিকরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন।’
চলতি বছরে মার্চ মাসের শুরুতে বিশ্বাসভঙ্গের (criminal breach of trust) অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয় গৌরী খানের বিরুদ্ধে। লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশনে গৌরী খান-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গৌরী ছাড়া অপর দু’জন হলেন ‘তুলসিয়ানি গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল তুলসিয়ানি ও ডিরেক্টর মহেশ তুলসিয়ানি। অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ। তাঁর অভিযোগ ২০১৫ সালে ‘তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন গৌরী খান। তিনি FIR-এ উল্লেখ করেছেন, ‘ওই বছরই আমি সংস্থার সুশান্ত গল্ফ সিটির অফিসে যাই এবং সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করি এবং ৮৬ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ শাহের অভিযোগ, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটের চাবি আমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই থেকে অনেকটা সময় কেটে গেছে এবং আমি এখনও ফ্ল্যাট পাইনি। পরে, বুঝতে পারছি যে ফ্ল্যাট আমার কেনার কথা ছিল তার চুক্তিপত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকেই।’ গৌরী খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার (বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ) অধীনে FIR দায়ের করা হয় সেই সময়। অভিযোগে মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ দাবি করেন তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌরী খানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই ফ্ল্যাট কেনেন ওই সংস্থা মারফত।
নয়াদিল্লি : লোকসভা থেকে ৯৫ জন ও রাজ্যসভা থেকে ৪৬ জন। মোট ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার পর এবার তাঁদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করল লোকসভার সচিবালয়। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংসদের চেম্বার, লবি বা গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ভারতীয় সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের সংখ্য়া সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে! সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলের মোট ১৪১ জন সাংসদ। এর মধ্যে, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৯৫ জন সাংসদকে। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মোট ৪৬ জন সাংসদকে।
লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে, জোট ইন্ডিয়ার সাংসদ রয়েছেন ১৪২ জন। তার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন ৯৫ জন। অন্যদিকে, রাজ্যসভার ২৫০ টি আসনের মধ্যে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ রয়েছেন ১০১ জন। যার মধ্যে ৪৬ জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী জোটের ৫৮ শতাংশ সাংসদকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে, সব জায়গায় যে ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে, এটা সমবেতভাবে বিরোধীদের একটা ‘পলিটিকাল স্পিন’।
বিরোধীরা চাইছে সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিন। কিন্তু তাঁরা তা দিতে নারাজ। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
প্রণব মুখোপাধ্য়ায় তাঁর বই.. দ্য় প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স ২০১২-২০১৭-তে লিখেছেন, জওহরলাল নেহরুর সময় বিতর্ক বিরোধিতা এবং আলোচনার দিকটি বিশেষ করে সমৃদ্ধ হয়। নেহরু শুধুমাত্র বিতর্কে উৎসাহই দিতেন না, মতবিরোধকেও সম্মান করতেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী-সহ বহু বিরোধী নেতা সংসদে দাগ কাটতে পেরেছিলেন তার কারণ সেই সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বক্তব্য, অবস্থান এবং সমালোচনাকে প্রকাশ করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হত। জওহরলাল নেহরুই হোন বা ইন্দিরা গাঁধী, মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ী — প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিতেন।
সংসদে সাংসদদের বিরোধিতার রীতি চলে আসছে বহু দশক ধরে। বিজেপি বনাম কংগ্রেস-তৃণমূল নয়, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে এযাবৎ এই রীতিই চলে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সময় না পাওয়া গেলে, সরকার প্রশ্নের উত্তর না দিলে, ট্রেজারি বেঞ্চের প্রতিশোধপূর্ণ আচরণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন বিঘ্ন ঘটানো হলে এবং উপদ্রব ঘটানো সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করা হলে, বিক্ষোভ দেখান সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে দিতে বাধ্য সরকার। গত ৭০ বছর ধরে এই রীতিতে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।