Diwali 2023: ধনতেরাসে সোনা কেনার (Gold Buying Tips) সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ভারতীয়দের রীতি। অনেকেই উৎসবের (Diwali 2023) সময় সোনা কেনার বিষয়টি একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসাবে দেখেন। ধনতেরাসের সময় গয়না, মুদ্রা বা গোল্ড বার কিনতে পছন্দ করেন অনেক ভারতীয়। এটি এমন একটি সম্পদ যা প্রয়োজনের সময় খুবই কাজে লাগে।
সোনা কেনার সময় এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে:
সার্টিফায়েড সোনা কিনুন: শুধুমাত্র ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS)দ্বারা সার্টিফায়েড সোনা কিনুন। এটি সোনার বিশুদ্ধতা এবং গুণমান নিশ্চিত করে । বিআইএস হলমার্কে বিশুদ্ধতা কোড, পরীক্ষা কেন্দ্রের চিহ্ন, জুয়েলার্সের চিহ্ন এবং চিহ্নিতকরণের বছর থাকবে। সর্বদা হলমার্ক করা সোনা কিনুন। হলমার্ক সার্টিফিকেশন সোনার বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে এবং এটি সত্যতার একটি চিহ্ন। এটি সোনার গুণমানের গ্যারান্টি।
বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করুন: সোনার বিশুদ্ধতা ক্যারেটে পরিমাপ করা হয়, যেখানে 24 ক্যারেট সোনা সবচেয়ে বিশুদ্ধ। ভারতে সাধারণ সোনার বিশুদ্ধতার মাত্রা হল 24, 22 এবং 18৷ আপনার এবং বাজেটের জন্য সঠিক বিশুদ্ধতার স্তরটি বেছে নিন৷ সোনা ক্যারেটে পরিমাপ করা হয়, এবং 24 ক্যারেট খাঁটি সোনা হিসাবে বিবেচিত হয়। সাধারণত 22 ক্যারেট এবং 18 ক্যারেট সোনা গহনার জন্য ব্যবহৃত হয়। আপনি যে সোনা কিনছেন তার ক্যারেট আপনি জানেন তা নিশ্চিত করুন।
দামের তুলনা করুন: সোনার দাম গহনা থেকে জুয়েলার্স অনুযায়ী বিবেচিত হয়। কেনাকাটা করার আগে বিভিন্ন জুয়েলার্স থেকে দামের তুলনা করুন। আপনি অনলাইনেও সোনার হার চেক করতে পারেন। সোনার বর্তমান বাজার মূল্য সম্পর্কে অবগত থাকুন। দাম ওঠানামা করতে পারে, তাই কেনাকাটা করার আগে প্রচলিত রেটগুলি জেনে নেওয়া অপরিহার্য৷ আপনি একটি ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন তা নিশ্চিত করতে একাধিক জায়গায় দর পরীক্ষা করুন৷
মেকিং চার্জ থেকে সাবধান: জুয়েলার্স সোনাকে গহনায় রূপান্তর করার জন্য মেকিং চার্জ নেয়। গহনার ডিজাইন এবং জটিলতার উপর নির্ভর করে মেকিং চার্জ পরিবর্তিত হতে পারে। আগাম মেকিং চার্জ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং বিভিন্ন জুয়েলার্স থেকে তাদের তুলনা করুন। জুয়েলাররা প্রায়শই গয়না তৈরির সাথে জড়িত কারুকার্যের জন্য চার্জ করে। এই চার্জগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন, কারণ তারা সামগ্রিক খরচকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বাই-ব্যাক পলিসি বুঝুন: কেনাকাটা করার আগে জুয়েলার্সের বাই-ব্যাক পলিসি বুঝে নিন। এটি আপনাকে বলবে যে আপনি যদি ভবিষ্যতে স্বর্ণটি জুয়েলার্সের কাছে বিক্রি করেন তবে আপনি কতটা ফেরত পাবেন।
স্বনামধন্য জুয়েলার্স থেকে কিনুন: স্বনামধন্য এবং প্রতিষ্ঠিত জুয়েলার্স থেকে সোনা কিনুন। এটি ধাতুর গুণমান এবং সত্যতা নিশ্চিত করে। স্বনামধন্য জুয়েলার্স তারা যে সোনা বিক্রি করে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ডিসকাউন্ট এবং অফার চেক করুন: উৎসবের মরশুমে অনেক জুয়েলার্স ডিসকাউন্ট এবং বিশেষ প্রচার দিয়ে থাকে। আপনার অর্থের সর্বোত্তম মূল্য পেতে এগুলির ওপর নজর রাখুন।
ডকুমেন্টেশন: নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক চালান এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন পেয়েছেন। এতে বিশুদ্ধতা, ওজন এবং মেকিং চার্জের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কিনা দেখুন। এই ডকুমেন্টেশন ভবিষ্যতের লেনদেন বা বিনিময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নয়াদিল্লি: রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandanna) ‘ডিপফেক’ ভিডিও (Deepfake Video) মামলায় খোঁজ মিলল চার সন্দেহভাজনের। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) খোঁজ পেয়েছে চার জনের (four suspects)। বুধবার সকালে এমনই খবর মিলল, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে (Source ANI)।
রশ্মিকা মান্দানার ‘ডিপফেক’ ভিডিও মামলায় খোঁজ মিলল ৪ সন্দেহভাজনের
ভারতে সম্প্রতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে ‘ডিপফেক’ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কারচুপি। একের পর এক এই ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন একাধিক ভারতীয় অভিনেত্রী। এঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমদিকেই এই কারচুপির শিকার হন রশ্মিকা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় সেই ‘ডিপফেক’ ভিডিও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই মামলার তদন্তে দিল্লি পুলিশ ৪ সন্দেহভাজনের সন্ধান পেয়েছে। ANI সূত্রে খবর, এরা প্রত্যেকেই ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, তারা ভিডিওটি তৈরি করেননি। ফলে মূল সন্দেহভাজনের খোঁজ এখনও চলছে।
Delhi Police say it has tracked down four suspects, who turned out to be uploaders, not the creators, involved in the case of deep fake profiles of actor Rashmika Mandana. Police are looking are the key conspirator in the case.
দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন ‘পুষ্পা’ অভিনেত্রী। এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়ো। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কারণ ভারতে এই ‘ডিপফেক’-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা পটেলের। কিন্তু ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তাঁর মুখ সরিয়ে সেখানে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফও। তবে তাঁর ছবি কিছুক্ষণের মধ্যেই মুছে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। ‘ডিপফেক’-এর শিকার হয়েছেন কাজল, আলিয়া ভট্ট, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকা অভিনেত্রীরা।
খবর মিলেছে বলিউডের কিং খানের স্ত্রী, ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং প্রযোজক গৌরী খানকে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। যদিও এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ এই তথ্য ভুয়ো বলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ‘গৌরী খান লখনউয়ের এক রিয়েল এস্টেট সংস্থা তুলসিয়ানি গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যদিও ফার্মের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্ক থেকে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু গৌরীকে ইডির নোটিস পাঠানোর খবর সবটাই ভুয়ো।’
সূত্রের আরও দাবি, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তুলসিয়ানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাঙ্কের প্রায় ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনও মামলার সঙ্গে গৌরীর কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আধিকারিকরা বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখবেন।’
চলতি বছরে মার্চ মাসের শুরুতে বিশ্বাসভঙ্গের (criminal breach of trust) অভিযোগে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয় গৌরী খানের বিরুদ্ধে। লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি পুলিশ স্টেশনে গৌরী খান-সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। গৌরী ছাড়া অপর দু’জন হলেন ‘তুলসিয়ানি গ্রুপ’-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল তুলসিয়ানি ও ডিরেক্টর মহেশ তুলসিয়ানি। অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ। তাঁর অভিযোগ ২০১৫ সালে ‘তুলসিয়ানি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপার্স’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন গৌরী খান। তিনি FIR-এ উল্লেখ করেছেন, ‘ওই বছরই আমি সংস্থার সুশান্ত গল্ফ সিটির অফিসে যাই এবং সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করি এবং ৮৬ লক্ষ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ শাহের অভিযোগ, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটের চাবি আমাকে দিয়ে দেওয়া হবে। সেই থেকে অনেকটা সময় কেটে গেছে এবং আমি এখনও ফ্ল্যাট পাইনি। পরে, বুঝতে পারছি যে ফ্ল্যাট আমার কেনার কথা ছিল তার চুক্তিপত্র অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকেই।’ গৌরী খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার (বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ) অধীনে FIR দায়ের করা হয় সেই সময়। অভিযোগে মুম্বইয়ের বাসিন্দা কীরিট জসওয়ান্ত শাহ দাবি করেন তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর গৌরী খানকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই ফ্ল্যাট কেনেন ওই সংস্থা মারফত।
নয়াদিল্লি : লোকসভা থেকে ৯৫ জন ও রাজ্যসভা থেকে ৪৬ জন। মোট ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়ার পর এবার তাঁদের উদ্দেশ্যে সার্কুলার জারি করল লোকসভার সচিবালয়। সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাসপেন্ডেড সাংসদরা সংসদের চেম্বার, লবি বা গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ভারতীয় সংসদীয় ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশনের সংখ্য়া সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে! সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বিরোধী দলের মোট ১৪১ জন সাংসদ। এর মধ্যে, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৯৫ জন সাংসদকে। রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে মোট ৪৬ জন সাংসদকে।
লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে, জোট ইন্ডিয়ার সাংসদ রয়েছেন ১৪২ জন। তার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন ৯৫ জন। অন্যদিকে, রাজ্যসভার ২৫০ টি আসনের মধ্যে, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদ রয়েছেন ১০১ জন। যার মধ্যে ৪৬ জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, বিরোধী জোটের ৫৮ শতাংশ সাংসদকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৩ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে, সব জায়গায় যে ঘটনার দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করা হচ্ছে, এটা সমবেতভাবে বিরোধীদের একটা ‘পলিটিকাল স্পিন’।
বিরোধীরা চাইছে সংসদে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিন। কিন্তু তাঁরা তা দিতে নারাজ। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
প্রণব মুখোপাধ্য়ায় তাঁর বই.. দ্য় প্রেসিডেনশিয়াল ইয়ার্স ২০১২-২০১৭-তে লিখেছেন, জওহরলাল নেহরুর সময় বিতর্ক বিরোধিতা এবং আলোচনার দিকটি বিশেষ করে সমৃদ্ধ হয়। নেহরু শুধুমাত্র বিতর্কে উৎসাহই দিতেন না, মতবিরোধকেও সম্মান করতেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী-সহ বহু বিরোধী নেতা সংসদে দাগ কাটতে পেরেছিলেন তার কারণ সেই সময়ের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের বক্তব্য, অবস্থান এবং সমালোচনাকে প্রকাশ করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হত। জওহরলাল নেহরুই হোন বা ইন্দিরা গাঁধী, মনমোহন সিংহ, অটলবিহারী বাজপেয়ী — প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী সংসদে তাঁদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিতেন।
সংসদে সাংসদদের বিরোধিতার রীতি চলে আসছে বহু দশক ধরে। বিজেপি বনাম কংগ্রেস-তৃণমূল নয়, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে এযাবৎ এই রীতিই চলে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার সময় না পাওয়া গেলে, সরকার প্রশ্নের উত্তর না দিলে, ট্রেজারি বেঞ্চের প্রতিশোধপূর্ণ আচরণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদের অধিবেশন বিঘ্ন ঘটানো হলে এবং উপদ্রব ঘটানো সাংসদদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করা হলে, বিক্ষোভ দেখান সাংসদরা। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের প্রশ্নের উত্তরে দিতে বাধ্য সরকার। গত ৭০ বছর ধরে এই রীতিতে কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।